রাসুলুল্লাহ (সা) এর সম্মানিত পিতা মতান্তরে মাতার দাসী ছিলেন তিনি। খাদীজা (রা)-এর সাথে বিয়ের পর রাসূল (সা) তাঁকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন। রাসূলুল্লাহ (সা) কে কোলে-কাঁখে করে যারা বড় করেছেন তিনি তাঁদের একজন। তিনি তাঁর ধাত্রীও ছিলেন।
রাসূলে কারীম (সা) তাঁকে যথেষ্ট সম্মান করতেন। তিনি একথাও বলতেন যে উম্মু আয়মান তাঁর পরিবারের অবশিষ্ট ব্যক্তি। রাসূল (সা) একদিন মক্কায় তাঁর সাহাবীদের বলেনঃ “তোমাদের কেউ যদি জান্নাতের অধিকারিণী কোন মহিলাকে বিয়ে করতে চায় সে যেন উম্মু আয়মানকে বিয়ে করে।” অতঃপর যায়েদ বিন হারিস (রা) বিধবা উম্মু আয়মানকে বিবাহ করেন। উম্মু আয়মান (রা) এর ছেলে আয়মান (রা) হুনাইন যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
উম্মু আয়মান (রা) এর সাথে সম্পর্কিত একটি অলৌকিক ঘটনার কথা বিভিন্ন সীরাত গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, তিনি যখন হিজরত করছিলেন তখন পথিমধ্যে এক স্থানে সন্ধ্যা হল এবং তিনি পিপাসায় কাতর হয়ে পড়লেন। ধারে কাছে কোথাও পানি ছিল না। এমন সময় আকাশ থেকে সাদা রশিতে ঝোলানো এক বালতি পানি তাঁর সামনে এসে দাঁড়াল। তিনি পেট ভরে সেই পানি পান করলেন। ফল এই দাঁড়ায় যে, তিনি জীবনে আর কখনও তৃষ্ণার্ত হননি।
তথ্যসূত্রঃ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা- ষষ্ঠ খন্ড
সুবহানাল্লাহ ছুম্মা সুবহানাল্লাহ
ReplyDeletePost a Comment