"জ্ঞানার্জনের ৬ টি স্তর রয়েছে:
প্রথমত: উত্তম আচরণের সাথে প্রশ্ন করা।
দ্বিতীয়ত: নীরবতা পালন করা এবং মনোযোগ দিয়ে শোনা।
তৃতীয়ত: ভালোভাবে বুঝা।
চতুর্থত: মুখস্ত করা।
পঞ্চমত: অন্যকে শেখানো।
ষষ্ঠত: আর এটাই জ্ঞানের আসল ফল, নিজের অর্জিত জ্ঞানের উপর আমল করা এবং এর সীমা অতিক্রম না করা।"
২/
"সুখী হওয়ার তিনটি উপায়: পরীক্ষিত হওয়ার সময় ধৈর্যধারণ, নি'আমাতসমূহের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা এবং পাপ করে ফেললে তার জন্য অনুতপ্ত হওয়া।"
৩/
"আল্লাহ আপনাকে ধ্বংস করার জন্য কখনো পরীক্ষায় ফেলেন না। যখন তিনি আপনার মালিকানাধীন কোনো কিছু কেড়ে নেন, তার মানে এই যে তিনি আরও বড় কিছু উপহার দেওয়ার জন্য আপনার হাত খালি করলেন।"
৪/
একজন ব্যক্তির মুখের ভাষা আপনাকে তার হৃদয়ের রুচির পরিচয় দিতে পারে।
৫/
"অহংকারী ব্যক্তির তাসবীহ থেকে পাপী ব্যক্তির কান্না আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়।"
৬/
"আল্লাহর পানে ছুটে যাওয়া এবং তাঁর উপরই নির্ভর করা, তাঁকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা, তাঁর প্রতি ভালোবাসা দিয়ে হৃদয়কে পরিপূর্ণ করা, প্রতিনিয়ত তাঁকে স্মরণ করা, তাঁকে চেনার সুখ ও আনন্দ অনুভব করা – এগুলো সবকিছুই হচ্ছে তাৎক্ষণিক পুরস্কার, এই দুনিয়ার মধ্যকার জান্নাত এবং এমন এক জীবন যার তুলনায় রাজা-বাদশাহদের জীবনও তুচ্ছ।"
৭/
"কবরের ভেতর বান্দার অবস্থা হলো তার বক্ষস্থ অন্তরের অবস্থার অনুরূপ। সুতরাং তুমি যদি কবরের ভেতর তোমার কী অবস্থা হবে তা জানতে চাও তাহলে তোমার অন্তরের দিকে তাকাও।"
৮/
"যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পায় তারা এমন দল, যাদের প্রতি আল্লাহ দয়াশীল এবং তাদেরকে সত্য বুঝার জ্ঞান দান করেন এবং তারা তদানুযায়ী আচরণ করেন। তারা এমন দল, যারা নিরাপদে রয়েছে এবং তাদের বিপরীতে যারা আছে, তারা ধ্বংসের মধ্যে রয়েছে।"
৯/
"জ্ঞান থাকার পরও যখন কেউ সত্যকে অবহেলা করে তখন সে তাদের দলভুক্ত হয়ে যায়, যারা ইতোমধ্যে বিপথে (ভ্রান্তিতে) চলে গেছে।"
১০/
"যদি কেউ এই পৃথিবীর সর্বক্ষেত্রে কিংবা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ক্ষতির উৎস খুঁজতে চায়, তবে দেখা যাবে এইগুলো মূলত দুটি নীতি (নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ ও আল্লাহর স্মরণের প্রতি অমনযোগী) থেকেই উৎপত্তি হয়েছে।"
Post a Comment