১.
আবু উমামা বাহেলি (রা) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (স) বলেছেন, ইসলামের কড়াগুলো একটি একটি করে ভেঙ্গে যাবে। একটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর মানুষ তার পরেরটি আঁকড়ে ধরবে। সর্বপ্রথম যে কড়াটি ভাঙবে, সেটি হল ইসলামী শাসন। আর সর্বশেষটি হল নামাজ। [মুসনাদ আহমাদ, হাকিম, ইবনে হিব্বান]
২.
আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুলাহ (স) বলেছেন: “শেষ যুগে আমার উম্মাতের কিছু মানুষ তোমাদেরকে এমন সব হাদীস বলবে যা তোমরা বা তোমাদের পিতা-পিতামহগণ কখনো শুননি। খবরদার! তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে, তাদের থেকে দুরে থাকবে।” [মুসলিম/৬]
৩.
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত, রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, মানুষের জীবনে এমন একটি যুগ আসবে, যখন তারা সুদ খাবে। তাদের যে লোক সুদ খাবে না, সুদের কিছু ধুলা তাকে গ্রাস করবে। [নাসায়ী/৪৪৫৫ (সহীহ)]
৪.
আব্দুল্লাহ(রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: কিয়ামত যখন কাছে চলে আসবে তখন এমন দিন আসবে যখন মূর্খতা ছড়িয়ে পরবে, জ্ঞান তুলে নেওয়া হবে এবং প্রচুর ‘হারজ’ হবে। হারজ হল হত্যা। [বুখারী/৭০৬২]
৫.
রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেন যার হাতে আমার জীবন তার শপথ, এই উম্মত ধ্বংস হবে না যতক্ষণ না তাদের পুরুষ নারীকে রাস্তায় ফেলে জনসমক্ষে ব্যাভিচারে লিপ্ত হবে। সে যুগে যে উত্তম ব্যক্তি হবে সে করে বলবে, যদি মহিলাকে এ দেয়ালের পেছনে আড়াল করে নিতে! [মুসনাদে আবি ইউলা/৬১৪১ (সহীহ)]
৬.
নবীজী (স) ইরশাদ করেন, শেষ যুগে সংঘটিত হবে ভূমিধ্বস, বর্ষিত হবে পাথরবৃষ্টি এবং মানবাকৃতিতে আসবে বিকৃতি। বলা হলো, তা কখন হবে হে আল্লাহর রাসূল! নবীজী বললেন, যখন গায়িকা বাদী, বাদ্যযন্ত্র ও মদ ব্যাপক হবে। [আলবানী, সহীহ আল জামে]
৭.
আমাকে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে অবহিত করুন’! নবীজী বললেন,‘দাসী তার মনিবকে জন্ম দিবে এবং তুমি দেখবে নগ্নপদ, নগ্ন শরীর, অভাবী, বকরীর পালের রাখালরা প্রতিযোগিতা করবে উঁচু উঁচু বিল্ডিং নির্মাণ নিয়ে। [মুসলিম/১]
৮.
আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, কিয়ামত কায়েম হবে না যতক্ষণ না ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং মিথ্যাচার বেড়ে যাবে এবং বাজার হবে কাছাকাছি’। [আহমদ (সহীহ)]
৯.
নবী (স) বলেন, শেষ যুগে একদল লোকের আগমণ হবে যারা সাদা চুল-দাড়ি কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করবে। তারা জান্নাতের গন্ধও পাবে না। [নাসায়ী/৫০৭৫ (সহীহ)]
১০.
যত দিন লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব না করবে ততদিন কিয়ামত হবেনা। [মুসনাদে আহমাদ। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে, হাদীছ নং ৭২৯৮]
১১.
নবী (স) বলেন, কিয়ামতের পূর্বে কেবল পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি স্ত্রীলোকেরা তাদের স্বামীদের ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করবে। [মুসনাদে আহমাদ, আহমাদ শাকের (রঃ) হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন]
১২.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, দুই প্রকার মানুষ জাহান্নামী হবে। আমি তাদেরকে দেখিনি। এক প্রকার ঐ সমস্ত মানুষ যাদের নিকট গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে। তারা এর দ্বারা লোকদের প্রহার করবে। প্রকার ঐ সমস্ত মহিলা, যারা বস্ত্র পরিহিতা কিন্তু উলঙ্গ, বিচ্যুতকারিনা ও স্বয়ংবিচ্যুত। যাদের মাথার খোপা বুখতী উটের পিঠের উচুকুজোর ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতের সূঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের সূঘ্রাণ এতো-এতো দূরত্বে পাওয়া যাবে। [মুসলিম/২১২৮]
১৩.
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (স) ইরশাদ করেন, এমন এক সময় উপস্থিত হবে যখন লোকেরা পরোয়া করবে না সম্পদ হালাল নাকি হারাম উপায়ে অর্জিত। [নাসায়ী/৪৪৫৪ (সহীহ)]
১৪.
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার ইবনে আস (র) হতে বর্নিত তিনি বলেন আমি রসুলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছি, “নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের কাছ থেকে এক টানে ইলম উঠিয়ে নিবেন না, বরং আলেমদের উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই ইলম উঠিয়ে নিবেন। অবশেষে যখন তিনি কোন আলেমই অবশিষ্ট রাখবেন না তখন লোকেরা অজ্ঞ জাহেলদের ইমাম হিসেবে গ্রহণ করবে। অতঃপর জিজ্ঞাসিত হলে না জেনেই ফাতোয়া দেবে। তারা নিজেও গোমরাহ হবে অন্যকেও গোমরাহ করবে। [বুখারী/১০০]
১৫.
নিশ্চয়ই কিয়ামতের পূর্বে অন্ধকার রাত্রির মত ঘন কালো অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে। সকালে একজন লোক মুমিন অবস্থায় ঘুম থেকে জাগ্রত হবে। বিকালে সে কাফেরে পরিণত হবে। বহু সংখ্যক লোক ফিতনায় পড়ে দুনিয়ার সামান্য লাভের বিনিময়ে তাদের দ্বীন বিক্রি করে দিবে। [মুসলিম/ কিতাবুল ফিতান]
১৬.
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বর্নিত, এমন এক যমানা আসবে মানুষ মসজিদে জমায়েত হয়ে সালাত পড়বে কিন্তু সেখানে একজনও মুমিন থাকবে না। [আবি শায়বা/১০১ (সহীহ)]
Good. Very good. جزاك الله خير الجزاء
ReplyDeletePost a Comment