শারি‘আহ্র পরিভাষায় ইসলাম বিনষ্টকারী কোনো কিছু করাকে রিদ্দাহ বলা হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ কাজ করলো সে মুরতাদ হিসাবে গণ্য হয়। আর ইসলাম বিনষ্টকারী এ বিষয়গুলোকে মূলত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।
১. কথার রিদ্দাহ: যেমন, আল্লাহ, তাঁর কোনো রসূল কিংবা তার কোনো ফেরেশতাকে গালি-গালাজ করা। অথবা গাইব জানার কিংবা নুবুওয়াতের দাবি করা। অথবা কোনো মিথ্যা নুবুওয়াতের দাবিদারকে মেনে নেওয়া, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে দু‘আ করা, কিংবা একমাত্র আল্লাহর ক্ষমতাধীন বিষয়ে অন্য কারও কাছে সাহায্য বা আশ্রয় প্রার্থনা করা।
২. কাজের রিদ্দাহ: যেমন, মূর্তি, গাছ-পালা, পাথর কিংবা কবরের উদ্দেশ্যে সিজ্দা বা কুরবানি করা। অবমাননার উদ্দেশ্যে নিকৃষ্ট স্থানে ক়ুর’আন মাজীদ রাখা; জাদু করা, শিখা বা অন্যকে শিখানো; বৈধ মনে করে আল্লাহর আইনের পরিবর্তে অন্য আইন দ্বারা বিচার ফয়সালা করা।
৩. ‘আক়ীদাহর রিদ্দাহ: যেমন, আল্লাহর শরিক আছে বলে মনে করা; যিনা, মদ, সুদ ইত্যাদি যেসব বিষয় হারাম হওয়ার কিংবা যেসব জিনিস হালাল হওয়ার ব্যাপারে ইজমা রয়েছে সেসবের কোনো হারামকে হালাল কিংবা হালালকে হারাম মনে করা। একইভাবে যেসব অকাট্য আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে সাধারণভাবে সকলেই জানে—এমন কোনো আদেশ-নিষেধকে অস্বীকার করা।
৪. সন্দেহ পোষণের রিদ্দাহ: ইসলামের কোনো অকাট্য বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করার কারণেও মানুষ মুরতাদ হয়ে যায়। যেমন, শির্ক নিষিদ্ধ হওয়া কিংবা যিনা ও মদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে কিংবা সর্বজনবিদিত কোনো হালাল জিনিস হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা। মুহ়াম্মাদ সা. কিংবা অন্য কোনো সত্য নাবির নুবুওয়াতের সত্যতায় সন্দেহ করা। সামগ্রিক ইসলামি জীবনব্যবস্থার কোনো বিষয় নিয়ে কিংবা বর্তমান যুগে তার উপযোগিতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা।
৫. ইসলামের কোনো রুকন ছেড়ে দেওয়ার রিদ্দাহ: যেমন, ইচ্ছাকৃতভাবে স়ালাহ পরিত্যাগ। কেননা নাবি বলেছেন, “বান্দা এবং শির্ক-কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাহ ছেড়ে দেয়া”।
বইঃ আকীদাতুত তাওহীদ
লেখকঃ ড. সালেহ আল ফাওযান
অনুবাদঃ ড. মানজুরে এলাহী
১. কথার রিদ্দাহ: যেমন, আল্লাহ, তাঁর কোনো রসূল কিংবা তার কোনো ফেরেশতাকে গালি-গালাজ করা। অথবা গাইব জানার কিংবা নুবুওয়াতের দাবি করা। অথবা কোনো মিথ্যা নুবুওয়াতের দাবিদারকে মেনে নেওয়া, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে দু‘আ করা, কিংবা একমাত্র আল্লাহর ক্ষমতাধীন বিষয়ে অন্য কারও কাছে সাহায্য বা আশ্রয় প্রার্থনা করা।
২. কাজের রিদ্দাহ: যেমন, মূর্তি, গাছ-পালা, পাথর কিংবা কবরের উদ্দেশ্যে সিজ্দা বা কুরবানি করা। অবমাননার উদ্দেশ্যে নিকৃষ্ট স্থানে ক়ুর’আন মাজীদ রাখা; জাদু করা, শিখা বা অন্যকে শিখানো; বৈধ মনে করে আল্লাহর আইনের পরিবর্তে অন্য আইন দ্বারা বিচার ফয়সালা করা।
৩. ‘আক়ীদাহর রিদ্দাহ: যেমন, আল্লাহর শরিক আছে বলে মনে করা; যিনা, মদ, সুদ ইত্যাদি যেসব বিষয় হারাম হওয়ার কিংবা যেসব জিনিস হালাল হওয়ার ব্যাপারে ইজমা রয়েছে সেসবের কোনো হারামকে হালাল কিংবা হালালকে হারাম মনে করা। একইভাবে যেসব অকাট্য আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে সাধারণভাবে সকলেই জানে—এমন কোনো আদেশ-নিষেধকে অস্বীকার করা।
৪. সন্দেহ পোষণের রিদ্দাহ: ইসলামের কোনো অকাট্য বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করার কারণেও মানুষ মুরতাদ হয়ে যায়। যেমন, শির্ক নিষিদ্ধ হওয়া কিংবা যিনা ও মদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে কিংবা সর্বজনবিদিত কোনো হালাল জিনিস হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা। মুহ়াম্মাদ সা. কিংবা অন্য কোনো সত্য নাবির নুবুওয়াতের সত্যতায় সন্দেহ করা। সামগ্রিক ইসলামি জীবনব্যবস্থার কোনো বিষয় নিয়ে কিংবা বর্তমান যুগে তার উপযোগিতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা।
৫. ইসলামের কোনো রুকন ছেড়ে দেওয়ার রিদ্দাহ: যেমন, ইচ্ছাকৃতভাবে স়ালাহ পরিত্যাগ। কেননা নাবি বলেছেন, “বান্দা এবং শির্ক-কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাহ ছেড়ে দেয়া”।
বইঃ আকীদাতুত তাওহীদ
লেখকঃ ড. সালেহ আল ফাওযান
অনুবাদঃ ড. মানজুরে এলাহী
Post a Comment